news & updates

Delegates of Japan Embassy met with Honorable Vice Chancellor at CUET.


  • Delegates of Japan Embassy met with Honorable Vice Chancellor at CUET.
  • Delegates of Japan Embassy met with Honorable Vice Chancellor at CUET.
চুয়েট ভিসি’র সাথে জাপান দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়ের সাথে বাংলাদেশে নিয়োজিত জাপান দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন। অদ্য ২৪ মে (বৃহস্পতিবার), ২০১৮ খ্রিঃ চুয়েট ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে সকাল ১০ ঘটিকায় উক্ত সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন জাপান দূতাবাসের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রধান (সেকেন্ড সেক্রেটারি) মাচিকো ইয়ামামুরা (গধপযরশড় ণধসধসঁৎধ) এবং চট্টগ্রামস্থ অনারারি কনসুলেট জেনারেল অব জাপান জনাব মুহম্মদ নুরুল ইসলাম। এ সময় চুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক ও সেন্টার চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় চুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, জাপানের সাথে বাংলাদেশের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। চুয়েটের অনেক শিক্ষক-ছাত্র উচ্চ শিক্ষা-গবেষণার নিমিত্তে জাপান গমন করছে। তিনি বলেন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা তৈরি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক স্টার্টআপ তৈরি কিংবা ইনোভেটিভ কিছু করতে চুয়েটের শিক্ষার্থীরা আগ্রহী। সেজন্য সংশ্লিষ্ট খাতে উপযুক্ত টেকনিক্যাল রিসোর্স পারসন এবং কারিগরি সহায়তা দরকার। এ সময় চুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর চুয়েটে কিছু অত্যাধুনিক টেকনোলজি নির্ভর ল্যাবরেটরি স্থাপনে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন। একইসাথে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে জাপানে স্কলারশীপ এবং দ্বি-পাক্ষিক বিনিময় কার্যক্রমে চুয়েটের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের আরো বেশি হারে সুযোগ প্রদানের জন্য তিনি আহবান জানান। এছাড়া চুয়েটের সাথে সাংস্কৃতিক কর্মকাÐ আয়োজনের ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মতবিনিময়কালে জাপান দূতাবাসের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রধান মাচিকো ইয়ামামুরা বলেন, বাংলাদেশ জাপানের অন্যতম বন্ধুপ্রতীম দেশ। জাপানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি ছেলেমেয়েরা মেধার পরিচয় দিচ্ছে। এমনকি গবেষণাকাজেও তারা বেশ আগ্রহী। অনেকেই সেখানে বেশ ভালো করছে। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চুয়েটের সাথে আমরা আরো নিবিড় সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। চট্টগ্রামস্থ অনারারি কনসুলেট জেনারেল অব জাপান জনাব মুহম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক সমরূপতার কারণে জাপানিদের কাছে চট্টগ্রামের আলাদা গুরুত্ব আছে। জাপানে প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্যতা নেই। জাপান কেবল তাদের মেহনতি মানুষের শ্রম ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে মিরাকল ঘটিয়েছে। বাংলাদেশেরও এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগানোর সুযোগ আছে। বিশ্ব এখন জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে হাইড্রোজেন জ্বালানি বা পানি দিয়ে তৈরি জ্বালানির দিকে ঝুঁকছে। কেননা এতে পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি নেই। সেক্ষেত্রে কক্সবাজারে জাপানি প্রকল্প ‘সী-ওয়াটার প্রসেসিং প্ল্যান্ট’ বিষয়ে চুয়েটের প্রকৌশলীদের সহায়তা চান তিনি। পরে প্রতিনিধি দল চুয়েটের প্রি-ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনে স্থাপিত জাপানীজ ল্যাংগুয়েজ সেন্টার পরিদর্শন করেন।