news & updates

National Victory day-2018 observed with great respect at CUET.


  • National Victory day-2018 observed with great respect at CUET.
  • National Victory day-2018 observed with great respect at CUET.
  • National Victory day-2018 observed with great respect at CUET.
  • National Victory day-2018 observed with great respect at CUET.
  • National Victory day-2018 observed with great respect at CUET.
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয় বলেছেন, ডিসেম্বর বাঙালির গৌরবের মাস, অহংকারের মাস। বাংলাদেশের বিজয়ের পর ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু দেশ গড়ার কাজে মনযোগ দেন। কিন্তু পঁচাত্তরে স্ব-পরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ঘাতকরা সেই পথ আগলে ধরে। তবুও আমরা পিছিয়ে পড়িনি। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর রক্ত তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বৃথা যেতে দেয় নি। বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ১৭৫১ ডলার এবং জিডিপি ৭.৫১ শতাংশ। এই দুটো পরিসংখ্যানই বিশ্ববাসীর কাছে বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে, বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নেই। আমরা এখন উন্নত দেশের কাতারে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিতে সক্ষম হয়েছি। পঁচাত্তরে যদি আমরা বঙ্গবন্ধুকে না হারাতাম তবে আমাদের বর্তমানের অর্জন আরো ২০ বছর আগেই হয়ে যেতো। চুয়েট ভিসি আরো বলেন, একটা সময় ছিলো আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পেতাম। অথচ আমাদের কাছে এখন অর্থ বরাদ্দ কোন ব্যাপারই নয়। সুতরাং সময় এসেছে বাংলাদেশকে আরো উন্নত ও সম্মৃদ্ধ করার জন্য প্রত্যেকের অবস্থান থেকে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। তিনি অদ্য ১৬ ডিসেম্বর (রবিবার), ২০১৮ খ্রিঃ চুয়েট শহীদ মিনারের পাদদেশে আয়োজিত ৪৮তম মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। চুয়েটে জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি এবং স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কৌশিক দেব, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) জনাব মোঃ নুরুল হুদা। ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন ও মানবিকের প্রভাষক জনাবা নাহিদা সুলতানা চৈতীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে যন্ত্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহম্মদ, প্রভোস্টগণের পক্ষে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান, শিক্ষক সমিতির পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, কর্মকর্তা সমিতির পক্ষে প্রকৌশলী অচিন্ত কুমার চক্রবর্তী ও কর্মচারী সমিতির পক্ষে জনাব মোঃ জামাল উদ্দিন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন রাফসান জানি রিসান, অং থোয়াই সিং মারমা ও জয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন বিভাগের বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে চুয়েট উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্ত্বরে প্রায় ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য এবং প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫২০ জনের আবাসন ক্ষমতা সম্পন্ন শেখ রাসেল হল উদ্বোধন করেন। এর আগে সকালে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এরপর চুয়েট উপাচার্য শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর একে একে চুয়েটের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। আলোচনা সভা শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে চুয়েটের শহীদ দুই শিক্ষার্থীদের কবর জেয়ারত করা হয়। এছাড়া দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা মধ্যে বৈশাখী মঞ্চে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ।