news & updates

5th International Conference on Advances in Civil Engineering (ICACE-2020) begins at CUET.


  • 5th International Conference on Advances in Civil Engineering (ICACE-2020) begins at CUET.
  • 5th International Conference on Advances in Civil Engineering (ICACE-2020) begins at CUET.
“২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইনোভেশন ও গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে”- তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এম.পি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, এম.পি. মহোদয় বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ডায়নামিক নেতৃত্বে মাত্র কয়েকদিন আগেই আমরা মধ্যবিত্ত দেশের কাতারে নাম লিখিয়েছি। স্বাধীনতা পরবর্তী গত কয়েক দশক ধরে দেশের ভৌত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে পুরকৌশলীরা অবদান রেখে চলেছেন। পুরকৌশলীদের ছাড়া দেশে দ্রুত এসব উন্নয়ন কর্মকা- সম্ভবপর হতো না। ইনোভেশন ও গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি বিশ্ববিদ্যালয় দেশকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখতে পারে। ২০৪১ সালের আমরা উন্নত ও সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারি কোভিড পরিস্থিতিতেও এই ধরণের আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। এই কনফারেন্স হতে প্রাপ্ত আউটপুট দেশকে প্রযুক্তি খাতে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।” তিনি আজ ০৪ মার্চ (বৃহস্পতিবার), ২০২১ খ্রি. সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর পুরকৌশল অনুষদের আয়োজনে তিনদিনব্যাপী টেকসই উন্নয়নে পুরকৌশল খাতের অগ্রগতি বিষয়ক ৫ম আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের (Ò5th International Conference On Advances in Civil Engineering; ICACE-2020)Ó উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে এবার প্রথমবারের মত কনফারেন্সটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কনফারেন্সে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী জনাব মহিবুল হাসান চৌধুরী, এম.পি. মহোদয় বলেন, “দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নকে টেকসই করতে প্রকৌশলীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের মিশনও টেকসই উন্নয়ন। সে লক্ষ্যেই বর্তমান সরকার ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করেছে। দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর টেকসই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও টেকসই প্রযুক্তি সুফল বয়ে আনবে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একাডেমিশিয়ান, গবেষক ও ইন্ডাস্ট্রির মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। ২০৪১ সালে আমরা বৈষম্যহীন একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।” চুয়েটের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেছেন, “বাংলাদেশে বর্তমানে চলমান মেগা প্রজেক্ট ও অন্যান্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকা-ে পুরকৌশলীদের প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে। দেশে এসব উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে বিদেশি প্রকৌশলীদের নির্ভরতা কমাতে হবে। চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগ ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশে তাদের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আন্তর্জাতিক অ্যাক্রিডিটেশন অর্জন করেছে। মহামারি করোনা পরিস্থিতিতেও এরকম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন অব্যাহত রাখায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।” কনফারেন্স চেয়ার এবং পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কনফারেন্স সেক্রেটারি অধ্যাপক ড. বিপুল চন্দ্র ম-ল। পুরকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব শ্যামল আচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন রয়্যাল সিমেন্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. আবুল মনসুর এবং বিএসআরএম’র সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার জনাব মো. তাজুল ইসলাম। তিনদিনব্যাপী এই ভার্চুয়াল কনফারেন্সে ৮টি প্লেনারী লেকচারসহ সর্বমোট ২৪টি টেকনিক্যাল সেশন রয়েছে। যেখানে Structural Environmental, Water Resources, Geotechnical, Transportation Sustainable Engineering Management সংশ্লিষ্ট গবেষণাসমূহ উপস্থাপন করা হচ্ছে। এবারের কনফারেন্সে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বমোট ৪৯১টি অ্যাবস্ট্র্যাক্ট জমা পড়ে। এরমধ্যে ৪৪৮টি অ্যাবস্ট্র্যাক্ট গৃহীত হয়। পরবর্তীতে সর্বমোট ২৬৫টি পূর্ণাঙ্গ প্রকাশনা প্রস্তাব থেকে রিভিউপূর্বক ১৯০টি প্রকাশনা কনফারেন্সে উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও কনফারেন্সে উপস্থাপিত প্রকাশনাসমূহের মধ্য থেকে আনুমানিক ৫০-৬০টি প্রকাশনা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান Springer Publisher থেকে Proceedings of ICACE-2020 প্রকাশিত হবে। এদিকে আগামী ০৬ মার্চ (শনিবার), ২০২১ খ্রি. উক্ত কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাননীয় সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, পুরকৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আলম। কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কনফারেন্সের টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহ্মুদ ওমর ইমাম। কনফারেন্সে উপস্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধসমূহ থেকে প্রাপ্ত তথ্য এবং সমাধানসমূহ পুরকৌশল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়াদির সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখবে বলে কনফারেন্স আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। কনফারেন্স সংক্রান্ত সকল তথ্যাদি কনফারেন্স ওয়েবসাইট (https://icacecuet.org)-এ পাওয়া যাবে। কনফারেন্স আয়োজনে সার্বিক সহায়তায় থাকছে রয়্যাল সিমেন্ট লিমিটেড, বিএসআরএম এবং ইউজিসি, বাংলাদেশ।