news & updates

International Mother Language Day-2024 observed at CUET.


  • International Mother Language Day-2024 observed at CUET.
  • International Mother Language Day-2024 observed at CUET.
  • International Mother Language Day-2024 observed at CUET.
  • International Mother Language Day-2024 observed at CUET.
  • International Mother Language Day-2024 observed at CUET.
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, “একুশ আমাদের শক্তি, আমাদের গৌরবের চেতনা। ২১শে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন আমাদের স্বাধীনতার মূল সূঁতিকাগার। মাতৃভাষার চেতনাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে ইউনেস্কোর মাধ্যমে স্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যাদের হাতেই আমাদের বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, তাদেরকে নিজেদের মাতৃভাষা ও দেশের প্রতি মমত্ববোধের বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। দেশপ্রেমের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়াতে হবে। যাতে একুশের চেতনাকে বুকে ধারণ করে সরকারের ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ভিশনকে বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারি।” তিনি আজ ২১শে ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ২০২৪ খ্রি. চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে পুরকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আয়শা আখতার, প্রভোস্টগণের পক্ষে তাপসী রাবেয়া শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোসা: রোকসানা খাতুন, স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি.এম. সাদিকুল ইসলাম, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ইউআরপি বিভাগের ‘১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান বুশরা, পিএমই ‘১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী আজহারুল ইসলাম মাহমুদ, শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থী মইনুল হক রাহাত, কুদরত-ই-খুদা হলের সাদিক লতিফ ও বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থী সপ্রতীভ বড়ুয়া। অনুষ্ঠানমালা সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান এবং সহকারী রেজিস্ট্রার (সমন্বয়) জনাব মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী ও শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করেন। আলোচনার শুরুতে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ বলেন, “তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ৫৬ শতাংশ মানুষের ভাষা ছিল বাংলা। এতো বিশালসংখ্যক জনগোষ্ঠীর উপর উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যই ছিল বাঙালিদের দাবিয়ে রাখা, শোষণ করা। বাঙালি সেদিন মাথা নত করেনি। একুশের চেতনা আমাদের সেই শিক্ষায় দেয়।” এর আগে মহান শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে দিনের প্রথম প্রহরে সকাল ৭:৩০ ঘটিকায় ক্যাম্পাসের আবাসিক এলাকায় উত্তর গোল চত্বর হতে প্রভাতফেরীর মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর শুরু হয়। প্রভাতফেরীতে নেতৃত্ব দেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এরপর চুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয়। পরে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় সাথে ছিলেন মাননীয় প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। পরে ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউট পরিচালক-বিভাগীয় প্রধান-অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক, হল প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক-কর্মকর্তা সমিতি, চুয়েট ক্লাব-সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এছাড়া মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে বাদ আছর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, উপস্থিত বক্তৃতা, দেশাত্মবোধক গান, পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।